কোটা সংস্কার আন্দোলন কি?
বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নানা ধরণের কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত আন্দোলনের নাম কোটা সংস্কার আন্দোলন। 

কোটা প্রথাঃ
স্বাধীনতার পর সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা চালু হয়। সে সময় মেধাতালিকা ২০ শতাংশ বরাদ্দ রেখে, জেলাভিত্তিক ৪০ শতাংশ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযুদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৩০ শতাংশ  এবং ১০ শতাংশ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার এই কোটা ব্যবস্থাটি পরিবর্তন করা হয়েছিল।

আর বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশের বেশি কোটা রয়েছে যার মধ্যে -

  • মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ
  • জেলাভিত্তিক কোটা ১০ শতাংশ
  • নারীদের জন্য ১০ শতাংশ  
  • ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ
  •  প্রতিবন্ধীদের জন্য  ১ শতাংশ

মোট ৫৬% কোটা , বাকি ৪৪% সাধারণ স্তরের জন্য।

দাবিসমূহঃ
চাররির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থার ৫টি দাবি নিয়ে চাকরী প্রত্যাশীরা আন্দোলন করছেন। দাবিসমূহ হলো:
  1. সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বর্তমান কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা।
  2. কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া।
  3. সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ।
  4. কোটায় কোনও ধরনের বিশেষ পরীক্ষা না রাখা।
  5. চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা।


গ্যালারিঃ





দেখুন ভিডিওসহঃ





Post a Comment

Previous Post Next Post

Comments