MUCIZE 2015 |
Director: Mahsun Kırmızıgül,
Cast: Mahsun Kırmızıgül, Mert Turak, Talat Bulut.
County: Turkey,
Language: Turkish,
Running time: 2h 16min.
কাহিনী সংক্ষেপঃ (স্পইলার এলার্ট)
প্রধান চরিত্র মাহির, যে একজন স্কুল শিক্ষক,তাকে পাঠানো হই দূরবর্তি পাহাড়ি এক গ্রামে (পালু) যেখানে শহরের সাথে সরাসরি যোগাযোগের কোন রাস্তা নেই,নেই কোন বিদ্যুৎ বা পানি ব্যাবস্থা নেই কোন রেডিও, মাহির বউ ছেলে মেয়ে রেখেই পেনশনের টাকা আটকে যাবে ভেবে রওনা হই সেই গ্রামে, কিন্ত সেখানে আরেক কান্ড! বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য কোন স্কুল নেই, সবাই ঠিক করে তারা শিক্ষা অফিসে গিয়ে স্কুলের জন্য দরখস্ত করবে।
(পালু) গ্রামের মাতব্বর দাসবুত ,তার ছয় ছেলে ,মেয়ে কতগুলো সে নিজেও জানে না। কারণ সেখানে বিয়ের পর মেয়ের বাপ হই তার স্বামী। প্রথমে বিয়ে ঠিক হই দাসবুতের তখন সব থেকে বড় ছেলে জালালের। তো বিয়ের নিয়ম হচ্ছে মহিলারা মেয়ে দেখতে যাবে ছেলে দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে বলবে মেয়ে কেমন হবে। পাড়াপ্রতিবেশি সব মহিলাদের সামনে মেয়ে দেখানো হই।মেয়ের গালের গন্ধ ,কোরআন পারে কি না, সুতার উপর হাটতে পারি কি না, রান্না যানে কি না ,এসব দেখে মেয়ে পছন্দ কি না বলা হই, তবে এই ছবিতে দেখা যাই মেয়ে কোরআন আর রান্না পারলেই তাকে পূত্রবধু হিসাবে পাকা করা হই, এর পর মেয়ে পক্ষ শুধু বলে আমাদের জামাই কেমন এবার ছেলের শক্তি, সাহস এগুলো বলেই বিয়ে।এরপর ভাইরা বউয়ের বর্ননা দেবে, বাসর রাতে বর কবুতরের ঘাড় মটকাবে তারপর বউয়ের ঘাড় :D
তো মজার ব্যাপার হলো জালাল ভালো দাত ওয়ালা মেয়ে চাই তবে সে পাই সব দাত পোকা খাওয়া বউ
ফাইজো ভালো চোখ দেখে বউ খুজতে বলে তবে সে পাই ট্যারা মেয়ে
তো পরে যখন তারা স্কুলের জন্য কথা বলতে যাই দেশের পরিস্থিতি খারাপ বলে মাস্টার কে তার বাড়িতে ফিরে যেতে বলে,এবং স্কুল করে দিতে নারাজ হই। পরে মাস্টার তার বউ চিমলে কে ডাকাতে ধরেছে বলে ২ লক্ষ টাকা নেই এবং নিজের টাকাই স্কুল করে।
এবার আরেক প্রধান চরিত্র আজিজ।যে প্রতিবন্ধি ,দাসবুতের ছোট ছেলে, সারা গ্রাম ঘুরে বেড়ানোই আজিজের কাজ, তো আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠ সম্মপর্ক হয়ে ওঠে মাস্টারের সাথে আজিজের। সে আজিজকে তার সাথেই রাখে এবং মায়া মমতা ভালোবাসা দিয়ে লেখাপড়া শিখাতে শুরু করে।
এদিকে দাসবুতের আরেক ছেলেকে হত্যার দায়ে চার বছরের জেল দেওয়া হই, এবং দাসবুত কোর্টের সামনে ঈশা নামের একজনের জীবন বাচাই, যে তার জীবন বাচানোর জন্য তার মেয়েকে দাসবুতের ছেলের সাথে বিয়ের কথা বলে, তবে তখন শুধু আজিজের বিয়ে বাকি, দাসবুত বলে আমার ছেলে প্রতিবন্ধি,ঈশা তাও বলে লোক পাঠান ,আমার মেয়ে আপনার বৌমা।
এবার শুরু হই আজিজের জীবন, প্রতিবন্ধি হলেও আজিজের বোউ ছিলো সবচেয়ে সুন্দরি , নাম মিজগিন, মিজগিন তার স্বামি প্রতিবন্ধি হলেও তাকে মেনে নেই, অন্তর থেকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে লাগে,তবে গ্রামের মানুষ আজিজ এবং মিজগিন কে তিরস্কার করতে লাগে , এতে করে আজিজ একদিন বউ কে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাই আর একটা চিঠি লিখে রেখে যাই।
মাস্টারের চাকরির বয়স শেষ হই, সে ফিরে যাই, তবে সাত বছর পর আবার মাস্টার সেই গ্রামে আসে তার বউ কে নিয়ে এবং সাথে আনে আজিজ কে, শুধু আজিজ নই সাথে তার বউ এক ছেলে এক মেয়ে ।
আজিজ কে সবাই জিগেস করে সার্জারি করেছিস নাকি?
তার উত্তর " না আমি আমার বউয়ের প্রেমে পড়েছি" <3
কিছু ভালোলাগা কথাঃ
সরকার স্কুল পাঠানোর আগে মাস্টার পাঠাই দিসে।
কামের কথা কইলে পাইনা ,বিয়ের কথা শুনলে দোউড়াস।
যদি সে কুটনি হই ?
কেউ মইরা গেলে আমরা টানা ৪০ দিন মুখ কালা রাখি এখন খালি ১ মিনিট কেন?
আট মাস আল্লাহর উপর নির্ভর করি বাকি চার মাস সরকার।
কিছু মানুষের অন্তরের চোখ থাকে।
দিনের পর দিন তোমার অপেক্ষাই থাকা ,বাপকে ছাড়া বাচ্চার বড় হওয়া, প্রতিদিন তোমার মৃত্যুর ভয়ে রাত জেগে থাকা।
রাইফেল আর বউ এই দুইটা জিনিস কখনো ছেড়ে দিস না।
ভীতু খুনিদের প্রতিরোধ করা প্রত্যেক সাহসি মানুষদের কাজ নয় কি ?
তার অন্তর তো প্রতিবন্ধি নয়।
সার্জারি করেছিস নাকি ? না আমি আমার বউয়ের প্রেমে পড়েছি <3
রিভিউঃ
এক কথাই এটা মাস্টার ওয়ান পিস।
শিক্ষকের দায়িত্ত্ব, সমাজের মাতব্বরের করনীয়, শিক্ষার উন্নয়ন, নারী শিক্ষা, অপরাধ স্বিকার, বিবাহ রীতি, প্রতিবন্ধি মানুষের সেবা, ভালোবাসা, বউকে ভালোবাসা, এক কথায় সব আছে এখানে।
মানুষের চরিত্র গুলো এত সরল কল্পনার বাইরে, আজিজের অভিনয় না দেখলে বুঝবেন না। শুধু আজিজ না ,প্রতিটা মানুষ যেন বাস্তবতায় আছে।
ফ্রেম গুলা খুজে বের করার চেষ্টা করবেন, দেখবেন ব্যাকগ্রাউন্ড কিভাবে সাজানো হয়েছে।
আর ডিরেক্টর এর কথা , আপনি ছবিতে ভুল খুজে পাবেন না।
Download link :crazyHD তে পাবেন।
Bangla Subtitle : https://goo.gl/XCp92Z
প্রধান চরিত্র মাহির, যে একজন স্কুল শিক্ষক,তাকে পাঠানো হই দূরবর্তি পাহাড়ি এক গ্রামে (পালু) যেখানে শহরের সাথে সরাসরি যোগাযোগের কোন রাস্তা নেই,নেই কোন বিদ্যুৎ বা পানি ব্যাবস্থা নেই কোন রেডিও, মাহির বউ ছেলে মেয়ে রেখেই পেনশনের টাকা আটকে যাবে ভেবে রওনা হই সেই গ্রামে, কিন্ত সেখানে আরেক কান্ড! বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য কোন স্কুল নেই, সবাই ঠিক করে তারা শিক্ষা অফিসে গিয়ে স্কুলের জন্য দরখস্ত করবে।
(পালু) গ্রামের মাতব্বর দাসবুত ,তার ছয় ছেলে ,মেয়ে কতগুলো সে নিজেও জানে না। কারণ সেখানে বিয়ের পর মেয়ের বাপ হই তার স্বামী। প্রথমে বিয়ে ঠিক হই দাসবুতের তখন সব থেকে বড় ছেলে জালালের। তো বিয়ের নিয়ম হচ্ছে মহিলারা মেয়ে দেখতে যাবে ছেলে দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে বলবে মেয়ে কেমন হবে। পাড়াপ্রতিবেশি সব মহিলাদের সামনে মেয়ে দেখানো হই।মেয়ের গালের গন্ধ ,কোরআন পারে কি না, সুতার উপর হাটতে পারি কি না, রান্না যানে কি না ,এসব দেখে মেয়ে পছন্দ কি না বলা হই, তবে এই ছবিতে দেখা যাই মেয়ে কোরআন আর রান্না পারলেই তাকে পূত্রবধু হিসাবে পাকা করা হই, এর পর মেয়ে পক্ষ শুধু বলে আমাদের জামাই কেমন এবার ছেলের শক্তি, সাহস এগুলো বলেই বিয়ে।এরপর ভাইরা বউয়ের বর্ননা দেবে, বাসর রাতে বর কবুতরের ঘাড় মটকাবে তারপর বউয়ের ঘাড় :D
তো মজার ব্যাপার হলো জালাল ভালো দাত ওয়ালা মেয়ে চাই তবে সে পাই সব দাত পোকা খাওয়া বউ
ফাইজো ভালো চোখ দেখে বউ খুজতে বলে তবে সে পাই ট্যারা মেয়ে
তো পরে যখন তারা স্কুলের জন্য কথা বলতে যাই দেশের পরিস্থিতি খারাপ বলে মাস্টার কে তার বাড়িতে ফিরে যেতে বলে,এবং স্কুল করে দিতে নারাজ হই। পরে মাস্টার তার বউ চিমলে কে ডাকাতে ধরেছে বলে ২ লক্ষ টাকা নেই এবং নিজের টাকাই স্কুল করে।
এবার আরেক প্রধান চরিত্র আজিজ।যে প্রতিবন্ধি ,দাসবুতের ছোট ছেলে, সারা গ্রাম ঘুরে বেড়ানোই আজিজের কাজ, তো আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠ সম্মপর্ক হয়ে ওঠে মাস্টারের সাথে আজিজের। সে আজিজকে তার সাথেই রাখে এবং মায়া মমতা ভালোবাসা দিয়ে লেখাপড়া শিখাতে শুরু করে।
এদিকে দাসবুতের আরেক ছেলেকে হত্যার দায়ে চার বছরের জেল দেওয়া হই, এবং দাসবুত কোর্টের সামনে ঈশা নামের একজনের জীবন বাচাই, যে তার জীবন বাচানোর জন্য তার মেয়েকে দাসবুতের ছেলের সাথে বিয়ের কথা বলে, তবে তখন শুধু আজিজের বিয়ে বাকি, দাসবুত বলে আমার ছেলে প্রতিবন্ধি,ঈশা তাও বলে লোক পাঠান ,আমার মেয়ে আপনার বৌমা।
এবার শুরু হই আজিজের জীবন, প্রতিবন্ধি হলেও আজিজের বোউ ছিলো সবচেয়ে সুন্দরি , নাম মিজগিন, মিজগিন তার স্বামি প্রতিবন্ধি হলেও তাকে মেনে নেই, অন্তর থেকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে লাগে,তবে গ্রামের মানুষ আজিজ এবং মিজগিন কে তিরস্কার করতে লাগে , এতে করে আজিজ একদিন বউ কে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাই আর একটা চিঠি লিখে রেখে যাই।
মাস্টারের চাকরির বয়স শেষ হই, সে ফিরে যাই, তবে সাত বছর পর আবার মাস্টার সেই গ্রামে আসে তার বউ কে নিয়ে এবং সাথে আনে আজিজ কে, শুধু আজিজ নই সাথে তার বউ এক ছেলে এক মেয়ে ।
আজিজ কে সবাই জিগেস করে সার্জারি করেছিস নাকি?
তার উত্তর " না আমি আমার বউয়ের প্রেমে পড়েছি" <3
কিছু ভালোলাগা কথাঃ
সরকার স্কুল পাঠানোর আগে মাস্টার পাঠাই দিসে।
কামের কথা কইলে পাইনা ,বিয়ের কথা শুনলে দোউড়াস।
যদি সে কুটনি হই ?
কেউ মইরা গেলে আমরা টানা ৪০ দিন মুখ কালা রাখি এখন খালি ১ মিনিট কেন?
আট মাস আল্লাহর উপর নির্ভর করি বাকি চার মাস সরকার।
কিছু মানুষের অন্তরের চোখ থাকে।
দিনের পর দিন তোমার অপেক্ষাই থাকা ,বাপকে ছাড়া বাচ্চার বড় হওয়া, প্রতিদিন তোমার মৃত্যুর ভয়ে রাত জেগে থাকা।
রাইফেল আর বউ এই দুইটা জিনিস কখনো ছেড়ে দিস না।
ভীতু খুনিদের প্রতিরোধ করা প্রত্যেক সাহসি মানুষদের কাজ নয় কি ?
তার অন্তর তো প্রতিবন্ধি নয়।
সার্জারি করেছিস নাকি ? না আমি আমার বউয়ের প্রেমে পড়েছি <3
রিভিউঃ
এক কথাই এটা মাস্টার ওয়ান পিস।
শিক্ষকের দায়িত্ত্ব, সমাজের মাতব্বরের করনীয়, শিক্ষার উন্নয়ন, নারী শিক্ষা, অপরাধ স্বিকার, বিবাহ রীতি, প্রতিবন্ধি মানুষের সেবা, ভালোবাসা, বউকে ভালোবাসা, এক কথায় সব আছে এখানে।
মানুষের চরিত্র গুলো এত সরল কল্পনার বাইরে, আজিজের অভিনয় না দেখলে বুঝবেন না। শুধু আজিজ না ,প্রতিটা মানুষ যেন বাস্তবতায় আছে।
ফ্রেম গুলা খুজে বের করার চেষ্টা করবেন, দেখবেন ব্যাকগ্রাউন্ড কিভাবে সাজানো হয়েছে।
আর ডিরেক্টর এর কথা , আপনি ছবিতে ভুল খুজে পাবেন না।
Download link :crazyHD তে পাবেন।
Bangla Subtitle : https://goo.gl/XCp92Z
إرسال تعليق